হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,
[দ্বিতীয় অংশ]
মহাসচিবের দায়িত্ব
দখলদার ইসরাইল হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় মহাসচিব সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভিকে শহীদ করার পর ১৯৯২ সালে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিষদের মাধ্যমে মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩২ বছর। মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেন এই মহান সংগ্রামী। তার নেতৃত্বে লেবাননের হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে নানা বিজয়ের পাশাপাশি তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও বড় বিজয় পায়। ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননকে ইসরাইলের কাছ থেকে দখলমুক্ত করা, ২০০৬ সালে ৩৩ দিনের যুদ্ধে অভাবনীয় বিজয় এবং ইরাক ও সিরিয়ায় অবৈধ আইএস সরকারের পতন মহাসচিব নাসরুল্লাহর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সাফল্য।
আইএস-কে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহকে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ফোর্সের কমান্ডার শহীদ কাসেম সোলাইমানি। এসব কারণে সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে প্রতিরোধের সাইয়্যেদ বলা হয়।
প্রতিরোধ সংগ্রামের অনন্য কৌশল এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে বারবার বিজয়ের কারণে হাসান নাসরুল্লাহর আরব ও মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
ব্যর্থ গুপ্তহত্যা
দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল এর আগে কয়েক বার সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
খাদ্যে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা (২০০৪)
আবাসস্থল লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমানের সাহায্যে বোমা হামলা (২০০৬)
অবস্থানস্থল মনে করে সেখানে ইসরাইলি বিমান হামলা (২০১১)
অবশেষে গত শুক্রবার রাতে বৈরুতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী বিমান হামলায় মহান এই সংগ্রামী নেতা শাহাদাৎবরণ করেন।
সূত্র: পার্সটুডে বাংলা